প্রকাশিত: Wed, Jul 10, 2024 9:29 AM
আপডেট: Sat, Dec 6, 2025 11:51 AM

[১]আবেদ আলী নিজ গ্রামে করেছেন আলিশান বাড়ি, মসজিদ, ঈদগাহ মাঠ

ফেরদৌস হোসাইন, মাদারীপুর: [২] কয়েকদিন আগেও গ্রাম থেকে পাড়ামহল্লা, সবখানেই বিচরণ ছিল সৈয়দ আবেদ আলীর। মাদারীপুরের ডাসার উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে সামনে রেখে চষে বেড়িয়েছেন সর্বত্র। রাতারাতি আঙুল ফুলে কলাগাছ হওয়ায় নিজগ্রামে কয়েক কোটি টাকা খরচ নির্মাণ করেছেন আলিশান বাড়ি। সপরিবারের করেছেন হজও। কিন্তু হঠাৎ থলের বিড়াল বেরিয়ে আসায় ডুপ্লেক্স বাড়িটি এখন তালাবদ্ধ।

[৩] মাদারীপুরের ডাসার উপজেলার পশ্চিম বোতলা গ্রামের মৃত সৈয়দ আ. রহমানের ছেলে সৈয়দ আবেদ আলী জীবন। তিন ভাইবোনের মধ্যে তিনি মেজ। 

[৪] খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, পৈতৃক ভিটা থেকে খানিকটা দূরে জমি কিনে নির্মাণ করেছেন তিনতলা বিশিষ্ট দৃষ্টিনন্দন বাড়ি। পাশেই গড়ে তুলেছেন সৈয়দ আবেদ আলী কেন্দ্রীয় মসজিদ ও ঈদগাহ মাঠ। আছে আমসহ বিভিন্ন গাছের বাগান। পরিবারের আছে কোটি টাকা মূল্যের আলাদা গাড়িও। 

[৫] মাদারীপুরের ডাসার উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে সামনে রেখে বেশ প্রচার-প্রচারণাও চালাচ্ছিলেন তিনি। এত টাকার জোগান কোথা থেকে এলে জনমনে নানা প্রশ্নের থাকলেও বর্তমানে আস্তে আস্তে তা পরিষ্কার হতে শুরু করেছে।

[৬] স্থানীয়রা জানায়, বড় ছেলে সৈয়দ সোহানুর রহমান সিয়াম পড়ালেখা করেছেন ভারতের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে। সিয়াম বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, ঢাকা মহানগর উত্তরের ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সম্পাদক এবং মাদারীপুরের ডাসার উপজেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি হয়েছিলেন। ছোট ছেলে ও মেয়ে ঢাকাতে পড়াশোনা করেন। 

[৭] পরিবার নিয়ে থাকেন ঢাকায়। বাড়ি ও দামি গাড়ি আছে। 

[৮] স্থানীয়দের দাবি, এই প্রশ্নপত্র ফাঁস করেই কোটি কোটি টাকার মালিক হয়েছেন তিনি। অথচ, নির্বাচনে প্রার্থী হিসেবে বিভিন্ন স্থানে করতেন সততার গল্প। এলাকায় অসহায় মানুষকে পাশে দাঁড়িয়ে দান করতেন নিয়মিত।

[৯] দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) মাদারীপুর সমন্বিত কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মো. আতিকুর রহমান বলেন, ‘বিষয়টি নিয়ে কোনো ব্যক্তি লিখিত অভিযোগ দিলে প্রধান কার্যালয়ে মতামতের ভিত্তিতে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

[১০] মাদারীপুরের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মারুফুর রশিদ খান জানান, পিএসসি’র চেয়ারম্যানের সাবেক ড্রাইভার সৈয়দ আবেদ আলীর সম্পত্তির ব্যাপারে খোঁজ খবর নেয়া হচ্ছে। সত্যতা পেলে আইনগত ব্যবস্থা নিতে দুদকসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে অনুরোধ করা হবে। সম্পাদনা: এম খান